আমার কাগজ প্রতিবেদক
ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিখন ঘণ্টা কমানো হলেও কোনো অভিজ্ঞতা বাদ দেয়া যাবেনা। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
মাউশি মহাপরিচালকের বিশ্বাস, ছয় মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাকি ছয় মাসের পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের জেরে সংক্ষিপ্ত হচ্ছে এই শিক্ষাবর্ষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে শীতকালীন ছুটি বাড়ানোর ফলে নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম কীভাবে সমন্বয় করা হবে, তার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সব বিষয়ের নির্ধারিত শিখন সম্পন্ন করতে হবে। ১০ নভেম্বরের মধ্যে পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করে ১১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন করতে হবে। যেখানে পুরনো নির্দেশনায় নভেম্বর জুড়েই ক্লাস চালু থাকার কথা ছিলো।
বছরের সাত মাস যখন শেষ হতে চলেছে তখন এমন নির্দেশনা কতোটা কার্যকর? যেখানে নতুন কারিকুলামের প্রথম ছয় মাসের মূল্যায়নের ফলই এখনও সম্পন্ন হয়নি।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, এখন আরও সময় সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আমরা কোন অধ্যায় বাদ দিবো না। হয়তো- সেখান থেকে সংক্ষিপ্ত করে নিয়ে আসবো।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলছেন, প্রথম ছয়মাসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী ছয় মাসের পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। মূল্যায়নেও সমস্যা হবেনা।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট হবে নভেম্বরের ভেতর সব কিছু শেষ করা। পরবর্তী কার্যক্রম আমাদের অভিজ্ঞতার কারণে অনেক দ্রুত হবে।
বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে শিক্ষায় কর্ম দিবসের সংখ্যাটা ১৮৫ দিন। এরমধ্যে ৩০ দিন বরাদ্দ আছে মূল্যায়নের জন্য। এবার সেই ১৫৫ দিনের শ্রেণী কার্যক্রম থেকেও সময় কমছে।