আমার কাগজ প্রতিবেদক
আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ের সামনে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন তিনি।
এর আগে, তিন দফা দাবি ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেও যুক্ত করার দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনের অবস্থান থেকে সরে সচিবালয় গেটে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ২টার দিকে দুইশর মতো শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটে অবস্থান নেন। এর পরপর সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এই মুহূর্তে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে কিংবা বের হতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ার পর সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগে থেকেই সেখানে পুলিশের দুটি সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়ে ছিল। আরও দুটি এপিসি আনা হয়েছে। পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রা সহকারে সচিবালয়ের অদূরে শিক্ষা ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেবো। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। যদি এরমধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।