
আমার কাগজ প্রতিবেদক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেড়েছে পরিবহন দালালের দৌরাত্ম্য। তাদের কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ এলাকায় বহিরাগত দালালের কাছে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। বিমানবন্দরে যাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবহন দালালসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুরো বিমানবন্দর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
ভুক্তভোগী একাধিক যাত্রী জানান, পরিবহন দালাল চক্রের সদস্যরা যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাহেঁচড়া করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখেও না দেখার ভান করে। তবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, তারা নিয়মিত পরিবহন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। অনেককে গ্রেপ্তার করে সাজাও দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাটানি ও লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি ঠেকাতে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। যাত্রীদের সেবা দিতে হেল্পডেস্কে দিন-রাত কাজ করছেন কর্মীরা। বিমানবন্দরে প্রবেশের পর বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারছেন যাত্রীরা। বিদেশ থেকে এসে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চালু করা হয়েছে ১০টি টেলিফোন বুথ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘হেল্পডেস্ক ও টেলিফোন বুথ থাকলেও তা কার্যকর ছিল না। এখন যাত্রীরা শতভাগ সেবা পাচ্ছেন। পরিবহন খাতের দালালসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুরো বিমানবন্দর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।’