
আমার কাগজ প্রতিবেদক
‘শাপলা চত্বর’ ও ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ‘চেতনায় শাপলা’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় কওমি শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শাহবাগ থানা সংলগ্ন ছবিরহাটে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তারা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে মিছিল নিয়ে আবার শহীদ মিনারের দিকে চলে যান।
‘চেতনায় শাপলা’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফ দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. শাহবাগ চেতনার কথা বলে যারা জাতিকে বিভক্ত ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
২. পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাগুরার শিশুসহ দেশব্যাপী সংঘটিত সব হত্যা-ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ধর্ষণের শাস্তি ‘প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড’র আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মুফতি আব্দুর রহমান ও ‘চেতনায় শাপলা’ প্ল্যাটফর্মের সংগঠক কাউসার বেলালী।
সমাবেশে মুফতি আব্দুর রহমান বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। পবিত্র মাসে লাকি আক্তার ও তার দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তারা ফ্যাসিবাদ ফেরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা অবিলম্বে এসব ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তাদের গ্রেফতার করা না হলে ‘চেতনায় শাপলা’ প্ল্যাটফর্মের কেউ ঘরে বসে থাকবে না।
‘চেতনায় শাপলা’ প্ল্যাটফর্মের সংগঠক কাউসার বেলালী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশে কামব্যাক করার জন্য শাহবাগের ব্যানার ব্যবহার করছেন। লাকি আক্তার, ইমরান এইচ সরকার শাহবাগের ব্যানারে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর অপচেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণজাগরণে আমরা রক্ত দিয়েছি। আমাদের প্রতিরোধ করার জন্য যদি কেউ চেষ্টা করেন, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবো।