আমার কাগজ প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাস নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর এবার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানের। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, আগামিকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) কমিশনের বৈঠকে তাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ইসি সচিব জানান, ঢাকার গুলশান এলাকার নির্ধারিত ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধনের সব আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও ডিজিটাল স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কাজও শেষ। ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুযায়ী কোনো যোগ্য নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পূর্ণ এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।
বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত থাকায় নতুন করে কাউকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে কমিশনের বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেই আগামীকাল পূর্ণ কমিশনের বৈঠকে নথিটি তোলা হবে। কমিশন চাইলে আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে অথবা নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই আবেদন মঞ্জুর করতে পারে। ইসি সচিবের মতে, কমিশনের সবুজ সংকেত পেলেই তাদের ভোটার তালিকায় নাম উঠবে।
সচিব আরও জানান, আজই হয়তো তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নম্বর তৈরি হয়ে যাবে। তবে নিবন্ধনের তথ্য সার্ভারে আপলোড করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি এবং সই মিলিয়ে দেখার মতো কিছু কারিগরি কাজ বাকি আছে। এসব যাচাই-বাছাই সফলভাবে শেষ হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে এনআইডি নম্বর ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরে আসার পর থেকেই তার ও তার পরিবারের সদস্যদের আইনি অধিকার ও ভোটার হওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন সবার নজর কালকের কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকে।
