রাজশাহী প্রতিনিধি
রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ভোট। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ থেকে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেন।
ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারেরা নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নেন। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়।
রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন থাকছে ১ হাজার ৭৩০টি।
তিনি বলেন, সরঞ্জাম পৌঁছার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখবেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করবেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।
এদিকে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সকালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে করা হবে না। ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, ১ হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮টি। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ৪ জন সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১২ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন। তবে সাধারণ ওয়ার্ডের ১টিতে কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও হিজরা ভোটার ৬ জন।