আমার কাগজ ডেস্ক
রাজধানী ঢাকায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে গত কয়েক দিনের তুলনায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল আকাশ, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীতের এই তীব্রতা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং মাঝারি ধরনের কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও সূর্যের দেখা পাওয়া কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আজ সকাল ৭টায় প্রকাশিত পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ, যা ঠান্ডার অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। সারা দেশের সম্ভাব্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে, আজ সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কিছু কিছু স্থানে তা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথে দৃশ্যমানতা কমে আসায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যাত্রী ও চালকদের সতর্কতার সাথে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
আজকের সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে উত্তরীয় বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রার এই নিম্নমুখী প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের জন্য এই হাড়কাঁপানো শীত চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন কুয়াশার স্থায়িত্ব বাড়লে শীতকালীন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন কৃষকরা।
