
আমার কাগজ ডেস্ক
১২ দিনের যুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধবিরতির মধ্যে প্রথমবার ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের জ্বালানি তেলের আড়ালে ইরানের তেল পাচারকারী একটি নেটওয়ার্ক এবং সশস্ত্র হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) অর্থবিষয়ক মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এটি জানিয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগের বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকি-ব্রিটিশ নাগরিক সেলিম আহমেদ সাঈদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি নেটওয়ার্ক ২০২০ সাল থেকে ইরাকি তেলের আড়ালে বা মিশিয়ে কোটি কোটি ডলার মূল্যের ইরানি তেল বিক্রি করে আসছে।
সেই সঙ্গে ইরানে উৎপাদিত তেলের গোপন সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকটি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অর্থবিভাগ ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের দাবি, সাঈদের প্রতিষ্ঠান এবং জাহাজগুলো প্রথমে ইরানি তেলের সঙ্গে ইরাকি তেল মিশ্রিত করে, পরে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে জাল নথি ব্যবহার করে ইরাক বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পশ্চিমা ক্রেতাদের কাছে শতভাগ ইরাকি তেল হিসেবে বিক্রি করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিএস ট্যাঙ্কার্স নিয়ন্ত্রণ করেন সাঈদ, যদিও তিনি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলেন।
এছাড়া, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল-কারদ আল-হাসানের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে তাদের যে কোনো ব্যবসা করতে বাধা দেয়া হবে।