আমার কাগজ প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের পাঁচ ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেলে চারটার দিকে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে দেখা গেছে।
এরপর থেকে মহাখালীতে যানচলাচল করতে দেখা গেছে। এদিন বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দুটি ট্রেন ঢাকায় ঢুকেছে এবং একটি বের হয়েছে। রেলপথ স্বাভাবিক হয়েছে চারটা থেকেই।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বৈঠক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বর্তমানে তারা বৈঠকে বসেছেন। তাদের দাবি পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা দেখে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন তারা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে আমতলী হয়ে রেলগেট ও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন। এসময় তারা দুটি ট্রেন থামাতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপও করেন। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তারপরও তারা কর্মসূচি চালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খল আন্দোলনের কারণে মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ঘটতে পারতো। এতে শত শত শিক্ষার্থীসহ অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের বিধিনিষেধ না মেনে রেললাইনের ওপর হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে যান এবং আন্দোলন করতে থাকেন। এসময় রেললাইন দিয়ে আসা দুই আন্তঃনগর ট্রেন তড়িঘড়ি করে থামাতে বাধ্য হন চালকরা। তারা যদি সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন না থামাতেন তাহলে মহাখালীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।