ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ফুটওভারব্রীজ ব্যবহারকারীদের চকোলেট ও ফুলেল শুভেচ্ছা ট্রাফিক পুলিশের

আমার কাগজ প্রতিবেদক
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একই সাথে ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুনও বটে। দিবসটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে পালন করেছে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ।
বিশেষ এ দিনে সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্ঘটনা রোধে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করেন পুলিশ সদস্যরা।

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম পিপিএম নিজে এবং অন্য কর্মকর্তারা পথচারীদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জানা যায়, ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অন্তর্গত তিনটি জোনে ৭টি ফুটওভারব্রীজ যার মধ্যে শাপলা চত্বর, আল হেলাল পুলিশ বক্স, মতিঝিল মডেল স্কুল, কমলাপুর, বাসাবো, আবুল হোটেল, বিটিভি সংলগ্ন স্থানগুলোতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম পিপিএম বলেন, ফুটওভার ব্রিজ অনেকেই ব্যবহার করতে চান না। এমনকি অনেক অভিভাবককেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিশুদেরকে নিয়েও রাস্তা পারাপার করতে অহরহ দেখা যায়। আসলে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার পথচারীদের জন্য শৃঙ্খলার বড় অংশ। এগুলো ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন কমে আসে তেমনই যানজট নিরসনেও ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হয়। তিনি আরো বলেন, তাই আমাদের সবারই ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করে সুশৃঙ্খলভাবে পথ চলা উচিত।’

জানা যায়, রাজধানীর ফুটওভারব্রীজগুলো আগের তুলনায় অনেক দৃষ্টিনন্দন ও বৃক্ষ সমারোহে সিটি কর্পোরেশন শোভিত করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখনো অধিকাংশ জনগণ ফুটওভারব্রীজ ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন। তারা রাস্তা পারাপারে ফুটওভারব্রীজকে উপেক্ষা করে রাস্তা দিয়ে আইল্যান্ডের মাঝখানে কিংবা আইল্যান্ড ডিঙ্গিয়ে পার হওয়াকেই স্বাচ্ছন্দ্য মনে করে। আর এসব কারণে অনেকই দুর্ঘটনার শিকার হন।

ট্রাফিক পুলিশের এ ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচিতে পথচারীদের মাঝে পরিবর্তন আসবে বলে উপস্থিত অনেকেই মনে করেন।