ধর্ম ডেস্ক
ভালো মানুষ বা আল্লাহওয়ালা লোকের সোহবত বা সংস্পর্শে থাকার অনেক উপকার রয়েছে। এতে কল্যাণমুখী শিক্ষা ও সদুপদেশ লাভ হয়। সৎ কাজ করা ও অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা অভ্যাসে পরিণত হয়। এসবের প্রভাব পড়ে ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! (চলা-ফেরা ও সব কাজে) তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং (যারা দ্বীনের ব্যাপারে অটল এরূপ) সত্যবাদীদের সংসর্গ গ্রহণ কর।’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
অপরদিকে চরিত্রহীন ও মন্দলোকের সংশ্রব গ্রহণ করলে আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলোর প্রতি উদাসীনতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে নিজের মধ্যেই মন্দ দিকগুলো ঢুকে পড়ে। বিষয়টি সাধারণ উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা সহজ। আতরের দোকানে বসলে সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। ডাস্টবিনের কাজ করলে, তার থেকে দুর্গন্ধ অনুভূত হয়—এটি স্বাভাবিক। হাদিস শরিফে ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীকে তুলনা করা হয়েছে আতর বিক্রেতা ও কামারের হাপর হিসেবে। কস্তুরী বহনকারী থেকে আপনি কিছু না কিনলেও সুবাস পাবেন। আর কামারের হাপর (কয়লার আগুনকে উস্কে রাখার পাখা) আপনার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, নয়তো দুর্গন্ধ দেবে।’ (দ্র: সহিহ বুখারি: ৫১৩৬)
যারা মন্দলোকের সঙ্গে থাকে, আবার জান্নাতে যাওয়ারও আশা করে তারা নির্বোধ। আল্লাহর রাসুলের সোহবতে হজরত ওমর (রা.), হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওসমান ও আলী (রা.)-এর মতো মানুষ তৈরি হয়েছে। ফেরাউন, নমরুদ বা কারুনের সঙ্গে থেকে হজরত আবু বকর কিংবা হজরত ওমর হওয়া যেমন অসম্ভব, তেমনি মন্দ মানুষের সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দিলে জান্নাতি মানুষ হওয়া প্রায়ই অসম্ভব। আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, মানুষ যাকে ভালোবাসবে (কেয়ামতের দিন) সে তারই সাথি হবে। (সহিহ বুখারি: ৬১৬৮, ৬১৬৯)
হাশরের দিন তারা আফসোস করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অপরাধী সেদিন স্বীয় হস্তদ্বয় দংশন করতে বলবে, ‘হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, দুর্ভোগ! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!’(সুরা ফুরকান: ২৭-২৮)