আমার কাগজ ডেস্ক
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং কমিশনের সদস্য সচিব মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ সমবায় সমিতি। তাদের দাবি— কমিশনের এই কর্মকর্তাদের অপসারণ করে কমিটি পুনঃগঠন করা উচিত।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে সমিতি তাদের এই দাবি জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনের সদস্যরা দেশি-বিদেশি দুষ্টু চক্রের এজেন্ট এবং তাদের দেওয়া সুপারিশ ও ঘোষণা তারা প্রত্যাখ্যান করছে। এছাড়া, তারা অভিযোগ করেছেন, অযাচিত এবং দুরভিসন্ধিমূলক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিবৃতিতে সমিতি আরও উল্লেখ করেছে, ১৭ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একটি মতবিনিময় সভায় আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং মো. মোখলেছুর রহমান প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের আবেগ, অনুভূতি এবং স্বার্থে আঘাত করেছেন। তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, বিশেষ করে উপসচিব পদে পদোন্নতি বিষয়ক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে। সমিতি এই বক্তব্যকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস হিসেবে দেখছে এবং এই ধরনের মন্তব্যকে অপ্রত্যাশিত এবং অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছে।
এছাড়া, কমিশন উপসচিব ও যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছে, যা সমিতি একেবারে অযৌক্তিক এবং ব্যবহারযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে। তাদের দাবি, যদি এই পরীক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন হয়, তবে পদোন্নতি প্রত্যাশীরা দাফতরিক কাজ বাদ দিয়ে পড়াশোনায় ফিরে যাবে, ফলে দেশের সরকারি দফতরগুলো কার্যক্ষমতা হারাবে এবং অদক্ষ কর্মকর্তাদের কারণে রাষ্ট্রের সেবা বাধাগ্রস্ত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য ক্যাডার থেকে যারা ওই পদে আসবেন, তাদের নীতিনির্ধারণী কাজে অভিজ্ঞতার অভাব থাকায় সরকারি দফতরের কার্যক্রমে তাদের দক্ষতার প্রমাণ প্রদর্শন করা সম্ভব হবে না। এতে, প্রশাসন ক্যাডারের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সেবা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হবে, এবং বাংলাদেশ একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত হতে পারে।
সমিতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এই ধরনের ‘কল্পিত’ এবং ‘অবিশ্বাস্য’ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানিয়ে, সরকারের কাছে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।