
আমার কাগজ ডেস্ক
দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি হয়েছে। দেবীকে চোখের জলে বিদায় জানাতে রাজধানীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে হাজারো ভক্তের সমাগম দেখা গেছে।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে মর্ত্যলোক থেকে দেবী দুর্গার বিদায়। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের সূর, অশ্রু ভক্তদের চোখে। অপেক্ষা একটি বছরের।
বিজয়া দশমীর দিন বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। দুপুরের পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা আসতে থাকে সেখানে। ঢাকের তালে নেচে-গেয়ে প্রতিমা নিয়ে আসেন ভক্তরা। বিষাদ-আনন্দ এক করে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেন তারা।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে তিনি ফিরে যান স্বামীর বাড়ি কৈলাসে। এই পাঁচ দিন ভক্তরা দেবী মাকে বন্দনা করেন।
দশমী পূজা উদযাপনের প্রধান আচার ‘সিঁদুর খেলা’। এদিন নারীরা দুর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন এবং একে অপরকে সিঁদুর মেখে সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় আনন্দময়ীর নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় যে উৎসবের শুরু হয়েছিল, দশমীতে দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো সেই দুর্গোৎসবের।
বৃহস্পতিবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে বিজয়া দশমীর বিহিত পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন হয়। এরপর তেল, সিঁদুর, পান-চিনি নিবেদন করে নয়ন ভিজিয়ে বিদায় জানান ভক্তরা।
রাজধানীর ২৫৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর ১০টি ঘাটে। ঘাটগুলো হলো- বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট, নবাববাড়ি ঘাট, লালকুঠি ঘাট, তুরাগের ধউর ঘাট, মিল ব্যারাক ঘাট, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আমিনবাজার ব্রিজ ঘাট, বসিলা ব্রিজ ঘাট ও বালু নদের কয়েতপাড়া ঘাট।
তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয় বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও নবাববাড়ি ঘাটে।
তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয় বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও নবাববাড়ি ঘাটে।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথ জানান, “এ বছর নগরীর ২৯২টি পূজার মধ্যে শতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে পতেঙ্গায়।” জেলায় ১৬ উপজেলায় আরও এক হাজার ৫০৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শাস্ত্র মতে, এবার দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে সপরিবারে মর্ত্যে এসেছেন গজে (হাতি) চড়ে, আর ফিরে যাচ্ছেন দোলায় (পালকি) করে। গজে আগমন শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিলেও দোলায় গমন মহামারী বা বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করে।