
আমার কাগজ প্রতিবেদক
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেই পথেই দেশ পরিচালিত হয়নি। বরং রাষ্ট্র ধীরে ধীরে একটি লুটেরা ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সাকির নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে যোগ দেয়।
তিনি বলেন, “জনগণই একটি রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু, তাদের হাতেই প্রকৃত ক্ষমতা থাকা উচিত। কিন্তু রাষ্ট্র যখন সেই জনগণকে বাদ দিয়ে চলে, তখন ক্ষমতা চলে যায় এক শ্রেণির শাসকের হাতে, যারা অধিপতির মতো আচরণ করতে শুরু করে। সেখান থেকেই জন্ম নেয় কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরশাসন।”
জোনায়েদ সাকি আরও অভিযোগ করেন, “১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্র গঠনের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে একটি লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে। তারা তাদের লুটপাটকে টিকিয়ে রাখার জন্য জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। অথচ রাষ্ট্রের দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য তৈরি করা।”
তিনি বলেন, “এ দেশে জনসম্মতি ছাড়া ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতা কাঠামো এককেন্দ্রিকভাবে একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।”
সাকি মনে করেন, গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থান একটি সংস্কারধর্মী ঐক্যমতের আকারে সামনে এসেছে। এখন প্রয়োজন, সেই সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করে প্রস্তাবগুলো সুশৃঙ্খলভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা, যাতে তারা মতামত দিতে পারে।”