
সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ঘোষণায় নাটকীয়তা
বাজিতপুর প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির। গতকাল বুধবার উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপিরসহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) এডভোকেট শাহ্ ওয়ারেশ আলী মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিরসহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ওয়াহাব আকন্দ ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল। সম্মেলনে বাজিতপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এহেসান কুফিয়াসহ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারে, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে পারে এবং দেশের সংস্কার চালু রাখতে সক্ষম। এছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারও সম্পন্ন করবে।
উদ্বোধক শরীফুল আলম বলেন, ‘বাজিতপুর বিএনপি আমাদের জেলার অন্যতম শক্তিশালী ইউনিট। আজকের সম্মেলনের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। ঐক্যকে ধরে রেখে বাজিতপুরের নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখবে।’
সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান মনির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ ঘোষণায় ছিল নাটকীয়তা। প্রথমে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হলে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামুন প্রতিবাদ জানিয়ে সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে শরীফুল আলম মোস্তাফিজুর রহমান মামুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে রাতের ভোটে আওয়ামী সরকারের দ্বারা জোরপূর্বক পরাজিত হন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী।