
স্পোর্টস ডেস্ক
স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশ হকি দল এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটা এশিয়া কাপে খেলে আসা বাংলাদেশ হকি দল এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে ব্যর্থতা নিয়ে ঘরে ফিরেছে। দেশকে লজ্জায় ফেলেছে হকির নীতিনির্ধারকরা। গত চার বারের এএইচএফ কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয়।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) হকির ব্যর্থতা খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করেছে। তিন সদস্যের কমিটি ডেকেছে তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিকে। জিমির সঙ্গে কথা বলতে চায় এনএসসি। জিমি জানিয়েছেন তাকে এনএসসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হকির ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে চায়।
জিমি বলেন, ‘আমি গিয়ে কী করব। কী কথা বলব।’ জাতীয় দল গঠনে নানা বির্তক সৃষ্টি করেছিল হকি ফেডারেশন। দেশের স্বার্থ না দেখে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরশু দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে হকি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। হকি দেশের মানুষকে লজ্জায় ফেলেছে বলেও বলা হয়েছে। সংগঠনের নেতারা হকিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন বসে আছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তারা সবাই মিলে হকিতে দেশের ক্ষতি করছেন বলে বলা হয়েছে। তারপরই গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ হকির ব্যর্থতা নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন তাদের কমিটি দেখবে কোথায় কোথায় সমস্যা ছিল। কেন পারল না সেগুলো দেখার কথা বলা হয়েছে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সাবেক খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলা হবে। পরামর্শ নেওয়া হবে।’
৪৩ বছর পর এশিয়া কাপে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে কোচ মামুন উর রশিদের দল। এএইচএফ কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপে খেলার টিকিট নিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গিয়েছিলেন মামুন উর রশিদ। কিন্তু দলের ব্যর্থতা নিয়ে তাকে ফিরতে হলো।
৩২ বছর বয়স দেখিয়ে বাংলাদেশের হকির অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিকে হকি ফেডারেশন বাদ দিয়েছিল। তাকে কেন বাদ দেওয়া হলো সেটা নিয়ে চুপ ছিলেন কোচ। জিমি খেললেই যে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতো তা-ও না। ফাইনালে উঠতেও পারত। ফাইনালে না উঠতে পারলেও বলা যেত সর্ব শক্তি নিয়েই বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে। দেশের সব ভালো খেলোয়াড়কে নিয়েই লড়াই করেছে। এখন আর সে কথা বলার সুযোগ নেই। বলার মতো মুখ রাখেনি হকি ফেডারেশন। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন তারা কোচ ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। সেটা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।