
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্যের ছেলে, ভাই ও বাবা। এতে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে নেতাকর্মী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মধ্যে। যদিও দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে, সংসদ সদস্যের নিকট আত্নীয় উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থী না করার। বগুড়ায় এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে ভোটের প্রচার।
সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ আসনে ২০২০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন সাহাদারা মান্নান। এবছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। এবার উপজেলা নির্বাচনে তার ছেলে সারিয়াকান্দিতে আর ভাই সোনাতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনে কোনো সংসদ সদস্যের সন্তান বা স্বামী-স্ত্রীকে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে সেই নির্দেশনা মানেননি সাহাদারা মান্নান। এনিয়ে কথাও বলতে চাননি তিনি। তবে বিধি মেনেই নির্বাচন করার কথা জানান সোনাতলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী তার ভাই।
সোনাতলা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্থানীয় এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক না দিয়ে নির্বাচন করছে। সুতরাং এখানে আওয়ামী লীগের আসলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
আত্মীয়-স্বজনদের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো না কোনোভাবে সবাই সবার আত্মীয়।
ছেলে ও ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে নিজের নির্বাচনী এলাকায় পারিবারিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন সংসদ সদস্য, এমন অভিযোগ করেন সাধারণ মানুষ।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে এমন আত্মীয়করণ ঠিক নয়। নির্দেশনার বাহিরে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের বিষয়ে দল থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জেনেছি।
গত সংসদ নির্বাচনে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা নিয়ে বগুড়া-৩ আসনে জয়ী হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। এবার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তার বাবা সিরাজুল ইসলাম খান। জাসদ, ফ্রিডম পার্টি ও জাতীয় পার্টি হয়ে এখন তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।