
ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেনী জেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক নেতা মরহুম খাজা আহমেদ ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন এর পৈত্রিক বাড়িতে উপজেলা ও স্হানীয় পর্যায়ের বিএনপি এ অঙ্গসংগঠনের কিছু বিচ্ছিন্ন নেতা কর্মী আজ সন্ধ্যায় ১০/১৫ গ্যালন পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন, বাড়ির কেয়ারটেকার নামাজ পড়তে গেলে তারা বাড়ির সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে গ্লাস ভেঙ্গে হল রুমে আগুন ধরিয়ে নীচতলার সকল রুমে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আশপাশের স্হানীয় বাসিন্দারা প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে,এতে হল রুমে নিরাপত্তা রক্ষিত কেয়ারটেকারের আসবাবপত্র কাপড় চোপড় এবং নীচতলার ড্রয়িংরুমের কিছু অংশ পুডে যায়,সন্ত্রাসীরা বাডির ২য় তলার দরজা ভাঙ্গার চেস্টা করে ব্যার্থ হয়ে সিঁড়ি ও দরজায় একইভাবে আগুন ধরিয়ে দিলে ও স্হানীয়দের ব্যাপক সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে,উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনের পৈতৃক এই বাড়িটি তার এলাকার নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত একটি বাড়ি হিসেবেই পরিচিত ছিলো,এখানে তার পরিবারের কেউ বসবাস করে না জেনেও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে একজন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য এবং ক্লিন ইমেজের নেতার বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে,কারন এই বাড়িতে গত ১৩ মাস যাবৎ কেউ থাকেনা ,জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন পরিবারের অপর সদস্যরা সরকারী চাকুরীর সুবাদে এলাকার বাহিরেই থাকে।তাদের এই পৈতৃক বাড়ি অত্র এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ঐতিহাসিক ভাবেই পরিচিত ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আহমেদ সাহেবের বাডি হিসেবে,এই বাড়িতে ফেনীর মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ের অধিকাংশ নেতা একাধিকবার এসেছেন সভা বৈঠক করেছেন বলে স্হানীয় মুরুব্বিরা জানিয়েছেন,এই বাড়িতেই বীর রাজা খ্যাত ফেনীর গভর্নর সংসদ সদস্য খাজা আহমেদ,এবিএম তালেব আলী,জয়নাল হাজারী,আমিনুল করিম খোকা মিয়া,আব্দুর রহমান বিকম ,আবদুল মালেক ,ফয়েজ আহমেদ বিএ সহ সিনিয়র সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ আসতেন বলে এই বাড়িটির ঐতিহাসিক পরিচিতি রয়েছে।আগুন লাগার সাথে সাথেই সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ বাড়িতে এসে আলামত জব্দ করে এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন ।