
আমার কাগজ ডেস্ক
২২তম চীন-আসিয়ান মেলা এবং চীন-আসিয়ান বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন চীনের কুয়াংসি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহরে উদ্বোধন করা হয়েছে।
এই উপলক্ষে সিজিটিএন বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯২.৮ শতাংশ নেটিজেন মনে করেন, এই মেলার আয়োজন চীন ও আসিয়ানের উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ এবং অবাধ বাণিজ্য ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা রক্ষার দৃঢ় প্রতিজ্ঞারই প্রতিফলন।
এবারের চীন-আসিয়ান মেলায় বিশ্বের ৪৫টি দেশের ৩,২০০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে আকর্ষণ করেছে এবং ১০ হাজারেরও বেশি কোম্পানির ২৫ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী মেলায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৯৪.৫ শতাংশ নেটিজেন মনে করেন, এই মেলা চীন ও আসিয়ানের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান গভীর করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
চলতি বছরের মেলায় প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রদর্শনী হল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ১,২০০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি এআই পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। ৭৮ শতাংশ নেটিজেন মনে করেন, এআই প্রযুক্তিসহ ডিজিটাল অর্থনীতি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে।
জরিপে ৯১.৯ শতাংশ নেটিজেন একমত যে, চীন ও আসিয়ানের পারস্পরিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক উপকারের একটি সুদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর যৌথ নির্মাণকাজও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন-লাওস রেলপথ, জাকার্তা-বান্দুং দ্রুতগতির রেলওয়ে এবং চীন-লাওস-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার আন্তঃদেশীয় পরিবহন ট্রেন কার্যকরভাবে মানুষ ও পণ্যের চলাচল সহজ করেছে।
সার্বিকভাবে, চীন ও আসিয়ানের সম্পর্ক এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সহযোগিতার সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও সফল অংশীদারিত্ব এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ সহযোগিতার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। দুই পক্ষের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র:সুবর্ণা-তৌহিদ-রুবি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।