স্পোর্টস ডেস্ক
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ দায়িত্ব গ্রহণের তাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে ওই পদে কাজ করতে আগ্রহী নন দেশটির সাবেক এই অলরাউন্ডার।
সম্প্রতি পিসিবির প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে হারুন রশিদকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে জাকা আশরাফের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে আসছিল। সেই দৌড়ে এগিয়েও ছিলেন হাফিজ। কিন্তু প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করতে নিজের অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বছর দেড়েক আগেই বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন হাফিজ। তবে এখনও বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মাঠেই বিচরণ করছেন এই অলরাউন্ডার। এখন জিম্বাবুয়েতে জোবুর্গ বাফেলোসের অধিনায়ক হয়ে জিম-আফ্রো টি-টেন লিগে মাঠ মাতাচ্ছেন তিনি।
পিসিবির এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও যুব ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন হাফিজ। দেশটির ইমার্জিং ক্রিকেটারদের উন্নয়নে অবদান এবং সরাসরি মাঠে কাজ করতে চান বলে জানান সাবেক এই তারকা।
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে মুখর আরেক সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফকেও কোনো পদের দায়িত্ব নিতে রাজি করাতে পারেনি পিসিবি। ওই আলোচনায় এসেছিল সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের নামও। তাকেও সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচক পদে বসানোর ব্যাপারে আলাপ চলছে। তবে পিসিবি প্রধান এখনও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, ছেলে আজম খানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কার কারণে দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক মঈনও। তিনি মনে করছেন, তার অধীনে খেলতে গিয়ে আজম অপ্রয়োজনীয় চাপে ভুগবেন। এছাড়া আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে পাকিস্তান আশানুরূপ সাফল্য না পেলে সমালোচিত হওয়ার শঙ্কাতেও ভুগছেন তারা।
মূলত চলতি বছরের দুটি বড় টুর্নামেন্টকে ঘিরে উপযুক্ত কাউকেই প্রধান নির্বাচক বানাতে চায় পিসিবি। সে লক্ষ্যে তারা সাবেক কোনো তারকা ক্রিকেটারকে খুঁজছে, যার আধুনিক ক্রিকেট সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককেও নিকট ভবিষ্যতে দলটির গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে দেখা যেতে পারে।
আইসিসির সভায় অংশ নিতে জাকা আশরাফ দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে বোর্ডের। তবে আগামী কয়েকদিনের ভেতর সাবেক কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আশরাফ। যেখানে তাদের আগ্রহ এবং দলে পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।