আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর শুরু হয়েছে নির্বাচনের দিনগণনা। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তা পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশেষ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। গতকাল বুধবার রাতে প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ায় পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করবেন। তারা ব্যর্থ হলে পার্লামেন্টারি কমিটি এই দায়িত্ব নেবে।
আইন অনুযায়ী, কমিটির কাছে নাম পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা। তিন দিনের মধ্যে নাম চূড়ান্ত করবে কমিটি। তারাও যদি ব্যর্থ হয় তবে তখন এই দায়িত্ব পাবে ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতে শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
তবে এই সরকার গঠন ছাড়াও নির্বাচন আয়োজনের আরেকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জনশুমারির সঠিক তথ্য হাতে পাওয়ার পরই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তারা জানায়, জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘জনশুমারি শেষ হলেই নির্বাচন হবে। এ জন্য চার মাস সময় দরকার হবে। ফলে নির্বাচনটি আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে ‘