
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়ালো।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় সুবচনী বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা দাবি করছেন, এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু।
নিহত শিশু একই এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ হোসেনের ছেলে তুরান (৮)।
জানা গেছে, শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে লৌহজংয়ে পিকনিকের একটি ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে আটজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ জনকে।
নিহতের মামা তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে পুলিশ জানায়, আমার ভাগ্নে তুরানের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে আমরা এসেছি। কিন্তু আমার আরেক ভাগ্নে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কয়েস আহম্মেদ জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সুবচনী বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তুরানের মরদেহ পাওয়া যায়। তবে নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর তল্লাশি চলছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের ট্রলারটি।