পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এতে কৃষকদের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষিরা। গতকাল এবং আজকের বৃষ্টিতে সড়কের নিচু স্থানে পানি জমে গেছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার তরমুজ চাষিরা। অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সদর উপজেলার রিকশাচালক আব্বাস মিয়া বলেন, সকাল ৮টার দিকে রিকশা নিয়ে নামার পরই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ঘন কুয়াশাতো রয়েছেই। এই বৃষ্টি কখন যে থামবে সেটাই বুঝতে পারছি না। বৃষ্টিতে রিকশা চালানো বন্ধ রেখেছি। বাজারে মানুষের আনাগোনা খুবই কম।
গলাচিপা উপজেলার বাদাম চাষি মোস্তফা খান বলেন, প্রায় ছয় জষ্ঠ জমিতে বাদাম লাগাইছি। এই রকম আর দুই-তিন দিন বৃষ্টি হলে সব বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ চাষি রিপন সিকদার বলেন, গতকাল বৃষ্টি হয়েছে। আজও বৃষ্টি হচ্ছে। তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি জমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পানি জমে অনেক গাছ মারা যাচ্ছে। বৃষ্টির এই অবস্থা চলতে থাকলে আমরা বড় লোকসানের মুখে পড়ব।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামীকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কমে যেতে পারে। তবে ঘন কুয়াশা আরও বাড়তে পারে এবং বেলা বাড়ার পরও তা অব্যাহত থাকতে পারে।