ফজলুল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি
জাল ভোট দেয়া, অবৈধভাবে কেন্দ্র দখল করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবি করেছে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোহাঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় তিনি নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর পুণরায় ভোট গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুমানিক ৩ টা থেকে ৩.৩০ ঘটিকার সময়ের মধ্য সোনাইমুড়ী উপজেলার ৭নং বজরা ইউনিয়ন ও ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়ন এর প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কাস্টিং ভোট ছিল ৫ শত থেকে ৬ শত। কিন্তু ফলাফল গনণার সময় দেখা যায় প্রতি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪ শত থেকে ১ হাজার ৫ শত এর উপরে ভোট কাস্টিং হয়। এ সময় নৌকা প্রার্থীর নেতা কর্মীরা কাঁচি মার্কার এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে বের করে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সীল মারে। এছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমের লোকজন দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে নিয়ে জাল ভোটের মাধ্যমে কাস্টিং ভোট বেশি পরিমাণে দেখায়।
পূণরায় ভোটগ্রহণের জন্য আবেদনকৃত কেন্দ্রগুলো হলো- সোনাইমুড়ী উপজেলার ১। ৮৩ নং রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রশিদপুর, ২। ৮৪ নং রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রশিদপুর, ৩। ৮৫ নং বজরা বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব চাঁনপুর, ৪। ৮৬ নং বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চাঁনপুর, ৫। ৮৭ নং বারাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারাইনগর, ৬। ৮৮ নং বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বদরপুর, ৭। ৯২ নং শিলমূদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিলমূদ, ৮ । ১০৯ নং মুসলিমগঞ্জ বাজার ফোরকানিয়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঘোষকামতা
৯ । ১১০ নং ঘোষকামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোষকামতা
১০। ১১২ নং পশ্চিম নাটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটেশ্বর
১১। ১১৩ নং মধ্য নাটেশ্বর ইসলামিয়া এফতেদায়ী মাদ্রাসা, নাটেশ্বর
১১৬ নং মোহাম্মদীয় আশ্রাফুল উলূম মাদ্রাসা, মির্জানগর ১৩ । ১১৮নং মির্জানগর ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জানগর।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোহাঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত আবশ্যক এবং একই সাথে উক্ত ৭ নং বজরা ও ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের এ ভোট কেন্দ্রগুলোর ফলাফল বাতিল করে পুণরায় ভোট গ্রহণ এবং জড়িত সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে জানান তিনি।’
তিনি রিটার্নিং অফিসার (নোয়াখালী) ও সহকারী রিটানিং অফিসার (সোনাইমুড়ী) এবং নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি বিকেলেই অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন। আবেদনের সাথে অনিয়মের ভিডিও ক্লিপও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।