
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে পুকুর থেকে আমেনা বেগম নামের এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই নারীকে তাঁর ঘরে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে দ্বীপের শতফুল গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা বেগম ওই গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী নিঝুম দ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তাদের তার চার মেয়ে, দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। স্বামী-স্ত্রী দুজন বাড়িতে থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে স্ত্রীকে নামাজ পড়া অবস্থায় দেখে যান। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান। এরপর বাড়িতে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিঝুম দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে ভোর রাতের দিকে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।