
ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের কোর্ট প্রাঙ্গনে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরে’ পথশিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে
বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
কোতয়ালী থানাধীন ওয়াইজঘাট এলাকায় অদ্য গতকাল বুধবার দুপুরে নেশাগ্রস্ত ও আইনের সাথে বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষে জড়িত পথশিশুদের নিয়ে একটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং বারাকা নামক একটি নেশাগ্রস্ত পথশিশু আশ্রয় কেন্দ্রে (এনজিও)-এর প্রতিনিধি পরিমল হেমব্রোম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাদক সেবন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় বিভিন্ন রকম ছোটখাট চুরির মত আইনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত কমবেশি ৪০ জন পথ শিশুকে কাউন্সিলিং করা হয় এবং বারাকার সহায়তায় তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করাসহ গোসলের ব্যবস্থা করা হয়, যা অব্যহত থাকবে। এসব শিশুদের মধ্যে গত মাসে তালিকাকৃত ১৫ জন শিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে কাউন্সিলিংয়ের পর একাংশ সংশোধিত হয়েছে, যাদের কেউ কেউ বারাকা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়মিত এবং অনিয়মিত আশ্রয়ে থেকে সেবা গ্রহণ করছে।
পরে দুুপুর দেড়টায় ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের কোর্ট প্রাঙ্গনে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরে’ ১২ জন পথশিশুকে কাউন্সিলং করা হয়। এতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ খাদেমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন এবং সকল শিশুদের খাবার বিতরণ শিশুদের গোসল করানোর জন্য সিএমএম কোর্ট হাজতখানার পিছনে পাবলিক টয়লেটে গোসলের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রতিদিন গোসল ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, ওয়াইজঘাটে চশমা ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার সহায়তায় এবং সিএমএম কোর্ট এলাকায় ঈদুল আজহার প্রাক্কালে স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মোঃ মনির হোসেনের সহায়তায় গোসলের সুবিধার্থে এ সকল পথ শিশুদের মধ্যে প্যান্ট-গ্যাঞ্জি ও গামছা এবং ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবী এড. আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপনের সহায়তায় ব্রাশ ও টুথ পেস্ট বিতরণ করা হয়।
কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, আমরা আশা করছি যে, আইনের সাথে বিভিন্ন রকম সংঘর্ষে জড়িত এসকল ছিন্নমূল পথ শিশুদেরকে পুলিশের কাউন্সিলিং, বাবুবাজার এলাকায় বিদ্যমান নেশাগ্রস্ত পথশিশুদের আশ্রয় কেন্দ্র-”বারাকা” এনজিওর সহায়তায় খাদ্য বিতরন, আশ্রয়, পড়াশুনা, বিনোদনের সুবিধা প্রধান ও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষন প্রদান এবং সমাজের বিত্তবান ও আগ্রহী ব্যক্তিদের সহায়তায় তাদের প্রয়োজনীয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করা সহ আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনাসহ কোতোয়ালি থানাধীন সদরঘাট, ওয়াইজঘাট, বাবুবাজার, মালিটোলা পার্ক ও কোর্টকাচারী এলাকা থেকে শতাধিক পথশিশুকে বারাকা’র শেল্টারে সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা যাবে।