আমার কাগজ ডেস্ক
দাম্পত্য, বিচ্ছেদ, বিচ্ছেদের পর প্রেম–এমনকি সন্তানের জন্ম; অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া কম হয়নি। এবার তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নুসরাত।
কলকাতা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত দাবি করেন, তিনি ‘সেভেন সেন্সেস’ নামে সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পরে তা শোধও করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘দয়া করে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক রঙ চড়াবেন না। কারণ এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।’
এদিকে নুসরাতের সংবাদ সম্মেলনের পর শঙ্কুদেব ফের অভিযোগ করেন, ওই সংস্থা থেকে নুসরাত কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। নুসরাত যখন ওই সংস্থার পরিচালক পদে ছিলেন, তখনই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছিল।
নুসরাতের দাবি, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাংকের লেনদেনে কোনো অস্বচ্ছতা নেই। যদিও শঙ্কুদেবের দাবি, ওই সংস্থা থেকে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিনেত্রী। সাংবাদিকদের সামনে চেক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করে এই দাবি করেন বিজেপি নেতা। তার আরও দাবি, কখনো ৫ লাখ, কখনো ২৫ লাখ, কখনো ৩৭ লাখ টাকা করে কোম্পানি থেকে একাধিকবার টাকা তুলেছিলেন নুসরাত।
শঙ্কুদেব অভিযোগ করেন, নুসরাতের সংস্থা বয়স্ক নাগরিকদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছে। ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকের থেকে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দপ্তরের কাছে তাদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কোনো ফ্ল্যাট পাননি।
এদিকে নুসরাতের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত অভিযোগের দায়িত্ব দল নেবে না। এটা ওদের নিজেদের বিষয়, সেটা ওরা নিজেরাই বলবে। কিন্তু প্রমাণের আগেই দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ডিরেক্টর তো অনেকেই থাকে, নুসরাত যদি কোনো জায়গার ডিরেক্টর থেকেও থাকে, তা হলে এ রকম ডিরেক্টর তো অনেক আছে। ওদেরও তো (বিজেপির) কে একজন সংসদ সদস্য আছে, যার বিরুদ্ধে ইডি-তে কমপ্লেন আছে। তিনি বিদেশেও গিয়েছিল চিটফান্ডের মালিকের সঙ্গে। আমি নাম বলব না।’