
আমার কাগজ প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসকে সামনে রেখে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে কমিশনের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উদযাপনে করণীয়, সমন্বিত উদ্যোগে কাজের ক্ষেত্র নির্ণয় ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বক্তাগণ ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ (২৫ নভেম্বর-১০ ডিসেম্বর) দিবস উদযাপন এবং কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন।
সভায় আলোচকগণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলপ্রসূতায় কার্যকরভাবে সর্বত্র নারীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটানো এবং সহিংসতা প্রতিরোধে বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ প্রদান করেন৷ পাশাপাশি, নারীর প্রতি শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সহিংসতার স্বরূপ, পরিণতি এবং প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সুপারিশ প্রদান করেন আলোচকগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো দিবস শুধুমাত্র গতানুগতিক উদযাপন নয়, বরং স্থায়ীত্বশীল ও কার্যকর প্রভাব রাখতে পারে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নারী অধিকার সুরক্ষায় রাজনৈতিক ও আইনি দায়বদ্ধতা তৈরি করতে পারলে স্থায়ীত্বশীল সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। সমাজিক ও সংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ ও কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
বক্তব্যে চেয়ারম্যান দলিত নারীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি দলিত নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ও নিপীড়নের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি, নারী শ্রমিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমিশনের সুষ্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন এবং নারী শ্রমিকদের সুরক্ষিত ও ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে যথাযথ মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণপূর্বক যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে সভায় আলোচকগণ কমিশনের ভূমিকার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যাশা করেন।
আজকের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হক৷ আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, অক্সফাম, ইউনিসেফ, বিএনডাব্লিউএলএ, ব্রাক, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পথফাইণ্ডার ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি।