
আমার কাগজ ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়াতেই সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হন নারীরা। ফেসবুকে অনেকগুলো মন্তব্যের মধ্যে একটি বাজে মন্তব্যই বারবার পপ-আপ আকারে এসে ভাইরালে পরিণত করে। ছবি বিকৃতির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে ভুল তথ্য।
এভাবেই বাস্তবের চেয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ডিজিটাল ভায়োলেন্স বেশি প্রভাব ফেললেও কারিগরি ও আইনি কোনো দিক দিয়েই সরকার ততটা প্রস্তুত নয়। সে কারণেই ডিজিটাল মাধ্যমে বিচরণে সতর্ক থাকার পরামর্শ খাত সংশ্লিষ্টদের। তারা মনে করেন ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’। পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রতিরোধ রক্ষাকবচ গড়ে তুলতেও পরামর্শ তাদের।
তাগিদ দেওয়া হয়েছে শিশু শ্রেণি থেকেই পাঠ্য সূচিতে ডিজিটাল লিটারেসি ও বিহ্যাভিয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপ-লক্ষ্যে সাইবার সার্পোর্ট ফর ওমেন অ্যান্ড চিলড্রেন (সিএসডব্লিউসি) নেটওয়ার্কের উদ্যোগে সম্প্রতি রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনু-ষ্ঠিত সেমিনারে এই পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস ক্যাফে সংগঠনের আয়োজনে নারী ও শিশুরা কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধীদের শিকারে পরিণত হন। এ থেকে পরিত্রাণে করণীয় এবং আইনি সহায়তার ওপর সেমিনারে বিশেষ আলোকপাত করা হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বড় পরিসরে গবেষণা করার ওপরও জোর দেন বক্তারা।
তরুণদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড দৌল্যান্ড। এরপর ক্যাম্পাস লাইফের যুগ্ম পরিচালক তাহসিনা রহমান, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ডি-রেক্টর মাঞ্জুর হাসান, ইউএন ওমেন চ্যাপ্টারের মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টিং অ্যানালিস্ট তানিয়া শারমিন বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ব্লাস্টের আইন ও গবেষণা সেলের সিনিয়র অফিসার মনীষা বিশ্বাস ও ডিআরএলের গবে-ষণা সমন্বয়ক মিনহাজ আমান ডি-ি জটাল অপরাধ নিয়ে দুইটি উপস্থাপনা পেশ করেন। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাইবার টিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রহমান।