
নওগাঁ প্রতিনিধি
ধান ও চাল অবৈধ মজুত করায় ১০ ব্যবসায়ীকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সাতদিনের মধ্যে মজুত ধান ও চাল বাজারে সরবরাহের মুচলেকা নেওয়া হয় চারজনের কাছ থেকে। সোমবার নিয়ামতপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতু ও ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। রাতে জরিমানার এ তথ্য জানানো হয়।
নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মন ধান মজুত করায় জাহাঙ্গীর শেখ নামের এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা, নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মন ধান অবৈধভাবে মজুতের দায়ে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে দুজন ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, ধামইরহাট উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুত রাখা ও লাইসেন্সবিহীন রাইস মিল পরিচালনায় চার মিল মালিককে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে মজুত ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, অভিযানে ধান ও চালের দাম কমার প্রভাব পড়েছে। সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।