আমার কাগজ ডেস্ক
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আটকের তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, “তাকে ধানমন্ডি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।”
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় গত ১০ অগাস্ট রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
২০২০ সালের ১৭ মে তিনি চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফের চার বছরের জন্য তাকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক শিবলীকে জুলাই আন্দোলনের কয়েকটি মামলাতে আসামি করা হয়েছে।
গত ২০ অগাস্ট রুবাইয়াত ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দুদিন পর ২২ অগাস্ট তাদের বিও হিসাব অবরুদ্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক শিবলী দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ে শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি দেশে-বিদেশে ফিন্যান্স, ব্যাংকিং এবং বীমা ক্ষেত্র সম্পর্কিত অনেক ব্যবসায়, চেম্বার এবং গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ‘ফ্লোর প্রাইস’ তোলা, তালিকাভুক্ত বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ, লোকসানি কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার মত বিভিন্ন উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের প্রশংসা পেলেও বিপুল খরচ করে বিদেশে রোড শো আয়োজন, বাজারে কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা, বড় অঙ্কের কারসাজির বিপরীতে নামমাত্র জরিমানার মত ঘটনায় তিনি সমালোচিত হন।
মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে এসইসি চেয়ারম্যান শিবলীর অর্থ পেয়েছেন বলেও ২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠে। সে সময় সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, শিবলীও সে বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি।