গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর এ দেশে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন তারা পরিবেশ রক্ষায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করেননি। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসে দেশে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করেন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি আবার সরকার গঠনের পরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘পরিবেশের উপর কাজ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্ব দরবারে নন্দিত হয়েছেন। আর এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। এটি আমাদের জন্য গর্বের এবং গৌরবের। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। দেশ পরিচালনায় তাঁর বিকল্প নেই।’
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ফলদ গাছের চারা বিতরণ এবং জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উল্লা খন্দকার আরও বলেন, ‘দেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত রক্ষায় তিনি নিজ হাতে ঝাউগাছ রোপণ করেছিলেন। তিনি রেসকোর্স ময়দানে নিজ হাতে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ রক্ষায় সকলকে কমপক্ষে ৩টি করে গাছ লাগাতে বলেছেন। আর তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আহবানে সাড়া দিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় গাছ লাগানোসহ পরিবেশ রক্ষায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. কাদের সরদার, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায়, মৎস্য অফিসার এস এম শাজাহান সিরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন, সমর চাঁদ মৃধা খোকন, তুষার মধু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের মাঝে ৪ হাজার ফলদ গাছের চারা বিতরণ করেন। এর আগে, শহীদ উল্লা খন্দকার কোটালীপাড়া পাবলিক ইনস্টিটিউশন (মডেল) এলামনাই এসোসিয়েশনের বৃক্ষরোপণ অভিযান ও সিকির বাজারের পাশের খালে মৎস্য অভয়আশ্রমের উদ্বোধন করেন।