আমার কাগজ প্রতিবেদক
দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবার দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
এছাড়া ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বভাসে আরও জানা যায়, দক্ষিণপূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে উত্তরপূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপে পরিণত হয় এবং গুরুত্বহীন হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ১৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, মাদারীপুর, ঈশ্বরদী, চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, টেকনাফ, বান্দরবান, কুমারখালী, খেপুপাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অল্প বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বান্দরবানে সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।