আমার কাগজ প্রতিবেদক
একজন প্রার্থী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় তিনবারের বেশি ‘অবতীর্ণ’ হতে পারবেন না এবং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তবে তিনবার অবতীর্ণ হতে পারার বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
অনেকে বলছেন, ‘অবতীর্ণ’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, সেটি অস্পষ্ট। এ প্রশ্নের উত্তর কী হবে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সুষ্পষ্ট করে কিছু বলেননি। শুক্রবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘এটি আমার কাছেও স্পষ্ট না। আপনি যেটা দেখেছেন, আমিও দেখেছি। সেখানে কিছু নেই, আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপনের পর বিবরণ থাকবে। ব্যাখ্যাগুলো তখন আসবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
যারা ইতোমধ্যে তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দেন সরকারের সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান। তিনি বলেন, ‘এখানে এটা ক্লিয়ারলি বলা হয়নি, এটা সত্য। আমাদের সরকারি সার্কুলারে অস্পষ্টতা থাকে। সেটার আবার পরে ব্যাখ্যা দিতে হয়। এখানেও ব্যাখ্যা দেওয়া উচিৎ এবং সেটা আসবে।’
তিনি বলেন, প্রার্থীদের দ্বিধা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যেহেতু সরকারি চাকরি করেছি, তাই ভাষাটা বুঝি। সরকারের কোনও আদেশ বা প্রজ্ঞাপন যেদিন প্রণীত হয়, সেদিন থেকে আইন কার্যকর হয়। অর্থাৎ, যারা ইতোমধ্যে তিন-চারটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফেলেছেন এবং এখনও কয়েক বছর বয়স আছে, তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম ‘প্রযোজ্য করা যাবে না, এটা হয় না সাধারণত’।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে বলা আছে যে সর্বোচ্চ তিনবার পরীক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু কোথাও বলা নেই যে যারা পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছে, তারাও পারবে না। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনের পর এটি কার্যকর হবে। এর বাইরে কোনোকিছু হওয়ার সুযোগ নেই। সূত্র: বিবিসি বাংলা।