আমার কাগজ প্রতিবেদক
নিয়ম ভেঙে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে শিক্ষার্থী ইমতিয়াজসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, জোর করলে হবে না, তদন্তের সুপারিশ দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি আমলে নিয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন।
বিক্ষোভের জেরে গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) অভিযুক্ত ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিকে সাময়িক বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন। তবে তা মেনে না নিয়ে ফের বিক্ষোভে ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিসহ জড়িত ৬ শিক্ষার্থীকে দুপুর ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটামসহ নতুন দাবি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন চারিদিক। তবে সেখানে দেখা মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে, অভিযুক্ত ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনসহ ছয় জনকে দুপুর ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করতে আল্টিমেটাম দিন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় সংশ্লিষ্টতা মেলে ছাত্রলীগ কর্মীদের। এরপর শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্ররাজনীতি।