
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আমরা ভৌগোলিক স্বাধীনতা পেলেও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই আবদ্ধ হয়ে আছি। চব্বিশের জুলাই মাস ছিল বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনের মাস। বৈষম্যবিরোধী আন্দেলনের ফসল হিসেবে দীর্ঘদিনের নিপীড়ন ও দুর্নীতি মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশের যেন অভ্যুদয় ঘটল। একে অনেকটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা প্রাপ্তির আখ্যান হিসেবে আখ্যায়িত করলেও ভুল হবেনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল এক ঐতিহাসিক আন্দোলন। এই আন্দোলনে স্বৈরাচারী শাসকের শোষণ পীড়ন ও জুলুমের অবসান ঘটেছে বটে। কিন্তু দেশ-জাতি কি এখনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত মুক্ত হয়েছে? সাধারণ জনগণের স্বস্তি, শান্তি আসছে কি? যাহোক অবশেষে বরফ গলেছে। স্বৈরাচারী শাসনের জগদ্দল পাথর চাপা থেকে আপাতত মুক্তি এসেছে। কিন্তু মুক্তির এই জাগরণকে বুকে ধারণ করে দেশ্রপ্রেমিক হয়ে দেশ মাতৃকার সেবা ও তার পুনর্গঠনের মনোযোগ নিবদ্ধ করার সময় এসেছে। জুলাই বিপ্লব জনগনের এক অহংকার ও গর্বের নাম। জুলাই বিপ্লব এক নতুন ইতিহাসের নাম। জুলাই বিপ্লব সমাজ চেহারায় পরিবর্তনের এক নাম। জুলাই বিপ্লবের ম্যানিফেস্টো ও বার্তা হচ্ছে- “আত্মশক্তি, আত্মসম্মান, স্বনির্ভরতা ও সমৃদ্ধি অর্জন”।
জুলাই ঘোষণাপত্র মূলত সেই অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ঘোষণা, যেখানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এটি ছিল এক ধরনের আনুষ্ঠানিক দলিল, যাতে বলা হয়েছে যে এই গণঅভ্যুত্থান জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ, তাই একে কখনোই অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখল হিসেবে চিত্রিত করা যাবে না। ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তারা জাতির বীর, তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সহযোগিতা পাবে। একই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন বা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্যও বিশেষ সুরক্ষার বিধান থাকবে। এর ফলে আন্দোলনকারীদের মনে যে অনিশ্চয়তা কাজ করছিলÑভবিষ্যতে রাষ্ট্র কি তাদের অপরাধী সাব্যস্ত করবে নাকি সম্মান দেবেÑসেটির সমাধান আনার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে জুলাই সনদকে বলা যায় ঘোষণাপত্রের একটি বিস্তৃত ও গভীর সংস্করণ। এটি কেবল আন্দোলনের দলিল নয়, বরং একটি নীতিগত রূপরেখা, যেখানে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটি খসড়া দর্শন উপস্থাপন করা হয়েছে। সনদে বলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও স্বাধীন হতে হবে, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। একে অনেকটা স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের সংবিধানের মতোই একটি পুনর্গঠনমূলক দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যদিও এটি নতুন সংবিধান নয় বরং একটি জাতীয় ঐকমত্যের অঙ্গীকারপত্র।
এখন প্রশ্ন আসে- এই ঘোষণাপত্র ও সনদের প্রণয়ন কতদূর এগিয়েছে এবং তার বর্তমান অবস্থান কী। সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ঘোষণাপত্রে প্রায় ২৪ থেকে ২৬টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শহীদ ও আহতদের মর্যাদা, ভবিষ্যৎ সংস্কারের প্রস্তাব, এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি সবই স্থান পেয়েছে। খসড়া অনুযায়ী এটি ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে ধরা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের মাধ্যমে, যা এক অর্থে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিরই প্রতীক। সনদটিও একই ধারাবাহিকতায় খসড়া আকারে প্রকাশ পেয়েছে এবং এটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনা চলছে। তবে সবকিছুই যে অনায়াসে মেনে নেওয়া হয়েছে তা নয়। অনেকে বলছেন, ঘোষণাপত্র ও সনদে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য কেবল রাজনৈতিক ঘোষণা যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক ও আইনগত প্রক্রিয়া। যেমন- সংবিধান সংশোধন, সংসদীয় অনুমোদন এবং সর্বোপরি ব্যাপক রাজনৈতিক ঐক্য। যদি এসব ধাপ অতিক্রম না করা যায়, তবে এই ঘোষণাপত্র কেবল একটি প্রতীকী দলিল হয়েই থেকে যাবে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, সনদে যে পরিবর্তনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর প্রতিরোধ দেখা দিতে পারে, তাই কার্যকর করতে হলে দরকার জনগণের মতামত নেওয়া ও জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা।
জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায় যে, এটি মূলত একটি জনগণভিত্তিক দলিল হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন অনেক দলিল রয়েছে-১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৯৭২ সালের সংবিধান, কিংবা ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণাগুলো-যা জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছিল। জুলাই ঘোষণাপত্রও সে রকম একটি দলিল, তবে এর আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো এটি সমকালীন প্রেক্ষাপটে জনগণের বাস্তব সমস্যা ও সমাধানকে সরাসরি প্রতিফলিত করবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জনগণের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো নানা সময়ে জনগণের পরিবর্তে গোষ্ঠীস্বার্থের কাছে বন্দি হয়েছে। তাই ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হবে যে রাষ্ট্রের ক্ষমতার একমাত্র উৎস জনগণ এবং সেই ক্ষমতা কেবলমাত্র জনগণের স্বার্থে প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয়ত, ঘোষণাপত্রে গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি থাকবে। শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো গড়ে তোলা হবে। তৃতীয়ত, এটি হবে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তার দলিল। বহু বছর ধরে মতপ্রকাশ, সংবাদমাধ্যম, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। ঘোষণাপত্র এ অবস্থা পরিবর্তনের অঙ্গীকার করবে। চতুর্থত, জুলাই ঘোষণাপত্রে দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট থাকবে। জনগণের অর্থ ও সম্পদের লুটপাট রোধে, রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার ঠেকাতে এবং জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। পঞ্চমত, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের নীতি প্রাধান্য পাবে। শ্রমজীবী মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, কৃষক ও যুব সমাজকে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার কেন্দ্রে স্থান দেওয়া হবে। ষষ্ঠত, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে বিচারব্যবস্থাকে দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করা যায়নি, অথচ জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য এটি অপরিহার্য। সপ্তমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীদের ভ‚মিকা ছিল অনস্বীকার্য। তাই ঘোষণাপত্রে যুবসমাজের অংশগ্রহণকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রগঠনের কেন্দ্রে স্থাপন করা হবে। এবং সর্বশেষে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার থাকবে, যেখানে জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান ও জনআন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রণীত হয়েছে, যা রাষ্ট্র ও সমাজের গতিপথকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন করে জাতীয় চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং এরই প্রেক্ষাপটে প্রণীত হয় জুলাই ঘোষণাপত্র ও পরবর্তীতে এরই একটি পরিণত রূপ হিসেবে ভাবা হচ্ছে জুলাই সনদ। অনেকেই এই দুটি শব্দকে একই অর্থে ব্যবহার করেন, কিন্তু বাস্তবে এগুলোর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ঘোষণাপত্র এবং সনদ একই ধারাবাহিকতার অংশ হলেও প্রকৃতি, উদ্দেশ্য, ভাষা, ব্যবহারিক গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যের দিক থেকে তাদের মধ্যে ভিন্নতা সুস্পষ্ট। জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ একই ধারাবাহিকতার অংশ হলেও তাদের প্রকৃতি ও কার্যকারিতা ভিন্ন। ঘোষণাপত্র হলো আন্দোলনের প্রেরণাদায়ী ঘোষণা, যা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং রাষ্ট্রকে বার্তা দেয়। অন্যদিকে, সনদ হলো ঘোষণার নীতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাঠামো, যা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে। জুলাই ঘোষণাপত্রকে যদি বলা যায়- আন্দোলনের কণ্ঠস্বর”, তবে জুলাই সনদ হলো সেই কণ্ঠস্বরের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। ঘোষণাপত্র অনুপ্রেরণা দেয়, সনদ সেই অনুপ্রেরণাকে রাষ্ট্রের স্থায়ী কাঠামোয় রূপান্তর করে। ইতিহাসে এই দুই দলিল পরস্পরকে সম্পূরক করে, কিন্তু তাদের ভূমিকা ও তাৎপর্য আলাদা।
আমরা আশা করতে পারি যে, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের দুর্যোগময় পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হবে। তবে আশু মুক্তির জন্য এবং সম্ভাব্য সমস্যার সমাধান হিসেবে বিভিন্ন সেক্টরে মনোযোগ নিবদ্ধ করতে হবে। প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি খাতে অগ্রাধিকার প্রদান পূর্বক তার পরিকাঠামোগত সংস্কারেও মনোযোগ দিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে বিদ্যমান ও পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার এর আমল থেকে চালু থাকা সমস্ত প্রকল্প বা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কমিটিকে ভেঙ্গে তার যৌক্তিক সংস্কার ও পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন জরুরী সেবা খাত যেমন- ডাক, তথ্য প্রযুক্তি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, এ সমস্ত খাতে এ যাবৎকালের সিন্ডিকেটেড দূর্নীতির মূল উচ্ছেদ করতে হবে। অধিকন্ত বাজার নিয়ন্ত্রণসহ খাদ্য ও বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অধিকন্ত গ্রামীন উন্নয়ন ও শান্তি রক্ষায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ে তথা ইউনিয়ন ও উপজেলা ভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করতে হবে। সমাজের সৎ, দায়িত্বশীল, নীতিপরায়ণ ও গ্রহণযোগ্য মানুষদের থেকে যাচাই-বাছাই করে ভালো ও আদর্শবান মানুষকে বিশেষ করে স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের তত্ত্বাবধানে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যানারের আওতায় সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি খুবই জরুরী এবং সর্বোপরি জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নিরাপত্তা কাউন্সিলও গঠনের আবশ্যকতা আছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। আর তাহলেই বাংলাদেশ ট্রমামুক্ত হবে, জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। অধিকন্ত শান্তিময় ও মানবিক বাংলাদেশের পতাকা সমুন্নত রেখে অগ্রগতির নতুন যাত্রাপথ উন্মোচিত হবে- সাধারণ জনগনের এ প্রত্যাশা ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লব পরবর্তী সরকারের কাছে। সর্বোপরি জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদে রাষ্ট্রের জন্য কি ধরণের বার্তা থাকা আবশ্যক সে বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর সনদ প্রণয়নে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।
পরিশেষে বলতে পারি যে, জুলাই ঘোষণাপত্র কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়; বরং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রচিন্তা, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি। এর বৈশিষ্ট্য হবে জনগণের ক্ষমতায়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক সমতা রক্ষা। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র এবং সনদ প্রণয়নের প্রক্রিয়া এখনো চলমান থাকলেও এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা ঘটাতে পারে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বের বিচারে জুলাই ঘোষণাপত্র একটি নতুন সামাজিক চুক্তির প্রতীক, যা জনগণকে আবারও রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ও উন্নত ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যাবে।
লেখক: সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি; এবং রোটারি লার্নিং ফেসিলিটেটর, রোটারি ক্লাব, ঢাকা এলিট।