
জাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গি মোড় থেকে শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের (শেখা হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া) আবাসিক শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, অবিলম্বে আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয়া হোক।
খবর পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তারা জানান, ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তারা এসেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তারাও একমত। কিন্তু নতুন হল খুলে দিতে পারছেন না কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে জটিলতার কারণে।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা নানা ধরনের স্লোগান দেন, দাবি মোদের একটাই—অবিলম্বে সিট চাই। থাকব না আর থাকব না, গণরুমে থাকব না। গণরুমের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।
এ ব্যাপারে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহসিনা রহমান মীম বলেন, গত ২৩ তারিখ যখন আমরা ভিসি স্যারের কাছে এসেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন চার দিন পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। নতুন হলে কবে আসন দেয়া হবে। কখন আমরা গণরুম থেকে মুক্তি পাব তা জানতে এখানে এসেছি।
তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া হলে যারা আন্দোলনে ছিলেন তাদের আসন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে প্রশাসন। যাতে তারা আর আন্দোলনে না আসে।
তবে এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শারমিন সুলতানা। তিনি বলেন, আমি ১৫টি আসন ফাঁকা করেছি গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে কে আন্দোলনে যাবে কে আন্দোলনে যাবে না এ রকম কোনো মন্তব্য করিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মনজুরুল হক বলেন, নতুন আরো দুটি হলের চাবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু লোকবলের অভাবে হল চালু করতে পারছি না। ইউজিসির সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, লোকবল নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে দ্রুত।