
ফরিদপুর প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে ‘রাজাকার’ বললেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহ সাহেব আপনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীদের খাদ্য সাপ্লাই দিয়েছেন, আপনার সেই খাদ্য খেয়ে পাকিস্তানিরা আমার মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। আপনি তো বড় রাজাকার ছিলেন।’
গতকাল বুধবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া বাজার মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিক্সন বলেন, ‘আমি করোনার সময় পরিবারের কথা চিন্তা না করে জনগণের পাশে ছিলাম, আর আপনি তো করোনার সময় দুই বছর ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। জনগণকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় সেবা করতে হয় তা আপনার জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাফরউল্লাহ সাহেব আপনি নৌকা নৌকা করেন, নৌকা কি শেখ হাসিনা আপনাকে দিয়েছে। আপনাকে এখনো নৌকা দেয় নাই, ইনশাআল্লাহ এবার নৌকা আমরা পাব। আপনি বলেন যে ওপরের নির্দেশে করোনার সময় ঘর থেকে বের হন নাই, করোনাকালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমি প্রতিটা মুহূর্তে আপনাদের পাশে ছিলাম। আমি আমার স্ত্রী সন্তানের মায়া ত্যাগ করে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করেছি, আপনি ভয়ে ঘর থেকে বের হন নাই, আর আপনি বড় বড় কথা বলেন।’
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘কাজী সাহেব আপনি বিগত দিনে অনেক ধমক-ভয় দেখাইছেন, আর না। এবার যদি কিছু বলেন ভাঙ্গায় আপনাকে এক মিনিটও দাঁড়াইতে দেব না। ভাঙ্গার জনগণ আপনাকে দেখিয়ে দেবে যে নিক্সন চৌধুরী কী জিনিস।’
জনসভায় কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইছাহাক মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য আসিক ইকবাল ও এখলাস ফকির, ফরিদপুর জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোবাহান মুন্সি, জেলা যুবলীগের সদস্য লাবলু মুন্সি, নিক্সন চৌধুরী যুব সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সেলিম বেপারী প্রমুখ।