
আমার কাগজ প্রতিবেদক
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (২২) গায়েবানা জানাজা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ জানাজা হয়।
নিহত জাহিদুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ‘সক্রিয় কর্মী’।
গায়েবানা জানাজা শেষে ভিসি চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে মল চত্বরে যান ওই শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘লাল জুলাইয়ের বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে জাহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। জাহিদুল ইসলাম পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না, তা তদন্তের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের সময় সিসিটিভি ফুটেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে দেখা গেছে দাবি করে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় কথা হয়েছিল, আন্দোলন সফল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে এই সংগঠন ভেঙে দেওয়া হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ৫ আগস্টের পর এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে একদল ‘কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলে’ লিপ্ত রয়েছে।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে লাশের রাজনীতি, খুন, হত্যার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন। অথচ ৫ আগস্টের পর সেই আগের মতোই দেখা যাচ্ছে, সামান্য ঘটনা নিয়ে খুন করে ফেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ দরকার।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (২২) ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে নিহত হোন। ইঙ্গিতপূর্ণ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
একদল যুবক জাহিদুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।