স্পোর্টস ডেস্ক
দীর্ঘ সাত মাস পর কোন ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। সেক্ষেত্রে যেরকম আমেজ, আবহ থাকার কথা ছিলো তা একদমই নেই। তা থাকার দায়ও নাজমুল হোসেন শান্তদের। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তারা যেমন পারফর্ম করছেন তাতে করে দর্শকদের অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় আজ বিকেল ৪টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লড়বে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। শুধু মাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির চিন্তা ছাড়া এই সিরিজের সামনে কোন ভিশন না থাকাতেও আগ্রহটা কম মানুষের।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এফটিপিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে ছিলো কেবল তিনটা। সেই তিন ম্যাচ আসছে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার আগে তাই আফগানিস্তানের সঙ্গে আরও তিন ওয়ানডে আয়োজন প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই।
প্রস্তুতির চিন্তায় হলেও আন্তর্জাতিক সিরিজ, প্রতিপক্ষও নিজেদের চেনা কন্ডিশনের শক্তিশালী আফগানিস্তান হওয়ায় তীব্র লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ আছে। এই জায়গায় বাংলাদেশ দল শুরুতেই একটা অস্বস্তিতে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে স্কোয়াডে থাকা ১৩ জনকে নিয়ে একাদশ সাজাতে হবে। কারণ স্কোয়াডের আরও দুই সদস্য নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা এখনো আমিরাতের ভিসা হাতে পাননি বলে যেতে পারেননি।
এই সিরিজের আগে শান্ত অধিনায়ক থাকবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা ছিলো। শেষ পর্যন্ত তাকেই অধিনায়ক রাখা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তিনিই যে থাকবেন তা অনেকটা পরিষ্কার। শান্ত তাই এই সিরিজ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কীভাবে খেলবেন তার একটা ধারণা পেতে যান, ‘আমরা এখান থেকে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কীভাবে খেলবেন) তার একটা ধারণা পেতে চাইব।’
এই সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকা লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানকে। রাজনৈতিক কারণে ঘরের মাঠে টেস্ট থেকে অবসর নিতে না পারা সাকিব এই সিরিজে কেন নেই তা পরিষ্কার নয়। লিটন নেই অসুস্থতার কারণে।
শান্ত অবশ্য না থাকাদের নিয়ে না ভেবে যারা আছেন তাদের নিয়েই আশাবাদী, ‘কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় এখানে আসতে পারেননি কিন্তু যারা নেই তাদের নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমরা কেবল ভাবছি এখানে যা আছে তা নিয়ে কী করতে পারি। আমার বিশ্বাস যারা আছেন তারা এখানে পারফর্ম করতে পারবে।’
লিটন না থাকায় তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার ও জাকির হাসানের মধ্যে দুজন ওপেন করবেন। শান্ত খেলবেন তিনে। টপ অর্ডার থেকে বাংলাদেশ চাইবে ভালো শুরু। শান্ত অবশ্য বলছেন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাধীনভাবে খেলার নিশ্চয়তা দিয়ে চাপমুক্ত রাখা হবে খেলোয়াড়দের, ‘আমি চাই না টপ অর্ডার থেকে বাড়তি চাপ নেওয়া হোক। আমি চাই তারা খেলাটা উপভোগ করুক নিজেদের সামর্থ্যের জায়গা থেকে। আমরা আগেও ভালো করেছি (ওয়ানডেতে)। অবশ্যই নিজেদের চেনা কন্ডিশনে আফগানিস্তান খুব ভালো দল কিন্তু আমরা যদি শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, আমরা খুব ভালো করতে পারব।’