
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদ এবং রাজশাহীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে চট্টগ্রামে আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রজোটের অন্তত ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন নারী রয়েছেন, যাদের একজনকে লাথি মারার একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কর্মসূচি শুরুর পরপর সেখানে মিছিল নিয়ে আসে শাহবাগবিরোধী ঐক্য। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় শাহবাগবিরোধী ঐক্যের লোকজন ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর। তারা হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস ও অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ। আহতদের মধ্যে কয়েকজন নারী রয়েছেন, যাদের একজনকে লাথি মারার একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে নারীকে লাথি দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। আকাশ চৌধুরী নামে ওই যুবক সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তবে তিনি জামায়াতের কোনো পদে নেই হলে নিশ্চিত করেছেন দলটির একাধিক নেতা। যদিও আকাশ চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে আকাশ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগরের মুরাদপুরে সুন্নিদের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ ছিল।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এর আগেই ফেসবুকে নানা উস্কানিমূলক পোস্ট আসে। আজ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে।
শাহবাগবিরোধী ঐক্যের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান রিয়াদ বলেন, শাহবাগ আন্দোলনের নামে এসব বাম সংগঠন শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহযোগিতা করেছিল। এখন তারা আবার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিহত করবো।
এদিকে হামলার পর প্রেসক্লাবে চত্বরে নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা–কর্মীদের দেখা যায়। তবে সেখানে শিবিরের কেউ ছিলেন না বলে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মো. তানজীর হোসেন ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, বিকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতি হয়েছিল। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় দুজকে আটক করা হয়েছে। রাতে তাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা থানায় এসেছিলেন। পরে থানা প্রাঙ্গণ থেকে সরে গেছেন তারা।