আমার কাগজ প্রতিবেদক
সম্প্রতি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন হাজারী গলি এলাকায় সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) বাংলাদেশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে ইসকন বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন হাজারী গলি এলাকায় হামলা-ভাংচুরসহ সহিংসতার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা সমাজের শান্তি, সৌহার্দ্য ও নিরাপত্তার ওপর বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘এ সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসকন বাংলাদেশকে নানাভাবে জড়িয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি যে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত এসব ঘটনার সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ও সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ইসকন। তারা বলেছে, তাঁদের (যাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে) দ্বারা সংঘটিত কোনো কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।
তবে চট্টগ্রামের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা তারা জানে না বলেও দাবি করেছে ইসকন।
চট্টগ্রামের হাজারী গলির সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, ইসকন একটি অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সংগঠন, যা সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবকল্যাণে নিবেদিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসকনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিমলা প্রসাদ দাস, দ্বিজমণি গৌরাঙ্গ দাস প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ওসমান আলী নামে হাজারী লেনের এক ব্যবসায়ীর দেওয়া ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় পোস্ট শেয়ারকারী ওসমান আলীকে।