আমার কাগজ প্রতিবেদক
গুলিস্তান এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সমুন্নতকরণ এবং নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার লক্ষ্যে আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২৫ ব্যানারের সত্বাধিকারীগণ, শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ ট্রাফিক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের আয়োজনে উক্ত সভার একটি বিশেষ উদ্যোগ ছিল ট্রাফিক কম্যুনিটি পুলিশ অর্ন্তভুক্তিকরণ।
সভায় জানানো হয়, ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ও ঢাকা সড়ক পরিবহনের যৌথ উদ্যোগে ৫০ জন ট্রাফিক কম্যুনিটি পুলিশ অন্তর্ভুক্ত করা হযেছে। তারা অত্র এলাকায় যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে সর্বতোভাবে সহায়তা করবেন। তারা দৈনন্দিন দু’পালায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম, কম্যুনিটি পুলিশ সদস্য প্রত্যেককে কমলা রংয়ের একটি করে কম্যুনিটি ট্রাফিক পুলিশ লেখা সম্বলিত জ্যাকেট ও বাঁশি প্রদান করেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মইনুল হাসান কম্যুনিটি ট্রাফিক পুলিশদের উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সমুন্নতকরণ এবং নগরবাসীকে যানজটমুক্ত করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং পর্যন্ত এলাকাটিকে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক মডেল হিসেবে উপহার দিতে চাই। এটা করতে হলে আমাদের একা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে খুবই কঠিন কাজ। এজন্যই আপনাদের অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি বিশেষ আহবান থাকবে, আপনারা কারো সাথে খারাপ আচরণ করবেন না এবং আইন কখনো নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না।
সভায় গুলিস্তান এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: অত্র এলাকায় গাড়ি যত্রতত্র রাখা যাবে না। কোনক্রমে বাম লেইন বন্ধ করা যাবে না। যাত্রী না থাকলে গাড়ি এক লেনে ও রাখা যাবে না; গাড়ির চাকা ঘূর্ণায়মান থাকতে হবে যাতে পিছনে কেউ জ্যামে না পড়ে। ফ্লাইওভার ল্যান্ডিং এ যাত্রী উঠানোর জন্য কিংবা নামানোর জন্য গাড়ি কোনক্রমেই থামানো যাবে না। কোনক্রমেই গাড়ি ডাবল লেইন করা যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কাউকে দুর্ঘটনায় নিপতিত করা যাবে না। উল্টো দিক দিয়ে কোন রিক্সা কোথাও গমন করবে না। কারো সাথে কোন ধরণের অপেশাদার কিংবা খারাপ আচরণ প্রদর্শন করা যাবে না ইত্যাদি।