
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের তালিকা করতে গণশুনানি চলছে।
রোববার সকাল থেকে গাজী টায়ারের প্রধান ফটকে আট সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে এই শুনানি শুরু হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও নিখোঁজদের স্বজনেরা অংশ নেন। তারা ঘটনার বর্ণনা দেন কমিটির কাছে। সেই সাথে দেন নিখোঁজ স্বজনদের তালিকা।
তদন্ত কমিটি জানিয়েছেন, গাজী টায়ার কারখানায় ঘটনার দিন কী ঘটেছিল, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত নিখোঁজদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর দেওয়া জবানবন্দি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। সকালে গণশুনানিতে দেড়শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ গণশুনানি চলবে।
গত ২৭ আগস্ট ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে জেলা প্রশাসন।
গত ২৫ আগস্ট বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট শুরু হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ২১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভবন থেকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
কর্মবিরতির জেরে ঢামেকে চিকিৎসা ব্যাহত, দুর্ভোগে রোগীরাকর্মবিরতির জেরে ঢামেকে চিকিৎসা ব্যাহত, দুর্ভোগে রোগীরা
ঘটনার পরদিন ১৭৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করে। তবে ১৩৫ জনের একটি নিখোঁজ তালিকা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা করেছেন।
গণশুনানির অর্থ হলো জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়, ঘটনা বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষ বা ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, মতামত ইত্যাদি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে শোনা ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার যথাসম্ভব প্রতিকার করা।