
আমার কাগজ প্রতিবেদক
জুলাই গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে আন্দোলন দমাতে উসকানি দেয়া ছাড়াও গুলির নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করার অভিযোগও এনেছেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার (১২ মে) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়।
এদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের কাছে তদন্ত সংস্থার কোর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিনজন এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। তদন্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় নির্দেশ দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থা। এটিই জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন। একইসঙ্গে জুলাই গণহত্যায় তার জড়িত থাকারও প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন এটি।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এমন আদেশ দেন। সেদিন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন।