
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
রামগতিতে শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীসহ তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরডাক্তার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রামগতি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নকুল চন্দ্র মজুমদার।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বিজয় চন্দ্র দাসের ছেলে পলক চন্দ্র দাস একই এলাকার নকুল চন্দ্র মজুমদারের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
পেশাগত কাজে বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে পলক ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে টানাহেঁচড়া করে ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পলক।
মেয়ের চিৎকার শুনে তার বোন এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পলক তাকে চুলের মুষ্টি ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এ সময় দুই মেয়েকে বাঁচাতে তাদের মামা এগিয়ে এলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
এ ঘটনায় মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে পলকের নেতৃত্বে অন্তর, দীপংকরসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন মিলে বাড়িঘরে হামলা এবং লুটপাট চালায়। এ সময় ঘরে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ এক লাখ নব্বই হাজার টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তাদের।
এ ঘটনায় নকুল চন্দ্র মজুমদার শুক্রবার ২৫ (এপ্রিল) রামগতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমি পরিবারসহ বাড়িতে যেতে পারছি না। অভিযুক্তরা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযুক্ত পলক জানান, ‘একজন মহিলাকে রাস্তায় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাই আমরা কয়েকজন।
এ সময় কে বা কারা আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা করে। আমরা ওদের কাউকে চিনিও না। হামলার অভিযোগ মিথ্যা।’এ বিষয়ে রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, ‘থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’