
আমার কগজ ডেস্ক
বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকালে পুলিশ এবং জনতার মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, এ দিন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। তারা ফিলিপাইনের পতাকা উড়িয়ে এবং একটি ব্যানার ধরে মিছিল করে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সকলের বিচারের দাবি জানিয়ে ব্যানারে এতে লেখা ছিল, ‘আর নয়, তাদের জেলে দাও।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষুব্ধ লোকজন দাঙ্গা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে এবং ব্যারিকেডের টায়ারে আগুন লাগায়। বিক্ষোভ থেকে কমপক্ষে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে সেনাদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
বিক্ষোভ থেকে একজন ছাত্র আলথিয়া ত্রিনিদাদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘আমার খারাপ লাগছে যে, আমরা দারিদ্র্যের মধ্যে ডুবে আছি। আমরা আমাদের ঘরবাড়ি, আমাদের জীবন এবং আমাদের ভবিষ্যৎ হারাচ্ছি, যখন দুর্নীতিবাজরা আমাদের করের মাধ্যমে তাদের বিলাসবহুল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ এবং বৃহত্তর কর্পোরেট লেনদেনের জন্য প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত হতে চাই, যেখানে মানুষ আর নির্যাতিত হবে না।’
গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র তার বার্ষিক ভাষণে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এরপর থেকে তথাকথিত ‘ভুতুড়ে অবকাঠামো প্রকল্পগুলো’ নিয়ে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। পরবর্তীতে মূল্যের অসঙ্গতি তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়।
বেশ কয়েকটি নির্মাণ কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত এক ধনী দম্পতি বাঁধের চুক্তি পাওয়ার পর জনসাধারণের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তাদের মালিকানাধীন কয়েক ডজন ইউরোপীয় এবং মার্কিন বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে জনমনে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন এই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য জনগণকে একটুও দোষারোপ করেননি এবং বিক্ষোভগুলোকে শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘রেড অ্যালার্ট’-এ রয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আরেকটি দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। সেখানে পুলিশি সহিংসতা, সংসদ সদস্যদের বেতন এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিক্ষোভকারীরা দেশব্যাপী সমাবেশ করে।