আমার কাগজ প্রতিবেদক
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে এবার গবেষণায় মনযোগী হচ্ছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এই লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে করা হচ্ছে একটি গবেষণাগার।
যেখানে মশার ধরন, এলাকাভিত্তিক ঘনত্ব ও এর প্রজনন নিয়ে গবেষণা হবে। এই ফলাফল প্রতি মাসেই সিটি কর্পোরশেনকে জানানো হবে।
যার উপর ভিত্তি করে মশা নিধনের কৌশল ঠিক করবে নগর প্রশাসন। এতে করো এডিসসহ অন্যান্য ধরনের মশাকেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গুর সাথে বাংলাদেশের লড়াইটা প্রায় দুই দশকের। প্রথম বড় আকারের প্রকোপ দেখা যায় ২০১০ সালে। এরপর গেলো প্রায় ছয় বছর ধরে প্রকট হয়ে উঠেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লয়ের পক্ষ থেকে বছরে দুবার মশার জরিপ হয়। কিন্তু বছরব্যাপী মশার ঘনত্ব, প্রজাতি বা মশা নিধন নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের হাতে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য ছিলো না।
অবশেষে বছরব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রমের লক্ষে একটি গবেষণাগার স্থাপনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে ঢাকা উত্তর সিটি।
এই গবেষণাগারে আগে থেকেই কাজ করতেন কীটতত্ত্ববিদরা। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নতুন করে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্র ও জনবল দেয়া হবে।
ঢাকা উত্তরের দশটি অঞ্চল থেকে নিয়মিত নমুনা আনা হবে এই ল্যাবে। ফলে কোন এলাকায় মশার ঘনত্ব কেমন সেটি জানা যাবে প্রতিমাসে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, এই গবেষণাগার থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত নিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেব নগর প্রশাসন।