
আমার কাগজ প্রতিবেদক
পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পকে অর্থনীতির বিষফোঁড়া হিসেবে আখ্যয়িত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি জানান, তবুও একল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে একই স্থানে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
এসময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর বলা হলেও সেটি মূলত একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুন্দ্র বন্দরতো দুরের কথা, নদী বন্দর বলা যায়না। বাণিজ্য উপদেষ্টাতো বলেছিলেন নদীর নাব্যতা হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়। তবে এ প্রকল্পের জন্য প্রতিবছর ড্রেজিং করতে হবে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়রা আনা যায়। যা হোক ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে।
তিনি জানান, দুদিন আগে সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ফলে দরপত্রে ১০ শতাংশ দরপ্রস্তাবের সীমা বাদ যাচ্ছে। ফলে একক ঠিকাদার চক্রের কাজ পাওয়া বদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে আইএমইডিকে শক্তিশালী করা হবে। সব প্রকল্প অনলাইনে থাকবে এবং শতভাগ দরপত্র ইজিপিতে যুক্ত করতে হবে।