আমার কাগজ ডেস্ক
টানা নয়দিন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয়পক্ষে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্র ণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে ৭২৪ জন শিশু রয়েছে। সেই সঙ্গে নিহত নারীর সংখ্যা ৪৫৮ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭১৪ জনে। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৪৫০ জন শিশু এবং এক হাজার ৫৩৬ জন নারী।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। সংগঠনটির দাবি, ২০ মিনিটের মধ্যে তারা ইসরায়েল অভিমুখে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছিল। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্ত অতিক্রম করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে এক হাজার ৩০০ জনের বেশি। আহত হয়েছে কয়েক হাজার।
হামাসের হামলার পরেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।